পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর : নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মহিলার সঙ্গে আলাপ জমিয়ে তাঁর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নগদ ও সোনার গহনা লুঠ করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবকের নাম পিন্টু দোলাই। তাঁর বাড়ি পটাশপুর থানার মল্লিকপুরে। প্রতারিত মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে বিচারক তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুর করেছে পটাশপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোচবিহারের এক মহিলার সঙ্গে আলাপ জমায় অভিযুক্ত পিন্টুর। সেই সময় পুলিশের পোশাক পরিহিত ছবি মহিলাকে পাঠিয়ে পিন্টু জানায় সে একজন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর। বেশ কিছুদিন মহিলার সঙ্গে কথাবার্তার সময় পিন্টু জানতে পারে ওই মহিলার একটি শিক্ষিত বেকার ভাই রয়েছে। ওই বেকার যুবককে পুলিশে চাকরি করে দেওয়ার নামে মহিলার পরিবার থেকে ধাপে ধাপে ৪ লক্ষ টাকা নগদ ও সাড়ে তিন ভরি সোনার গহনা নেয় পিন্টু।
এরপর মাস চারেক গড়িয়ে গেলেও ওই মহিলার ভাই কোনও চাকরি পায়নি। এরপরেই তাঁদের সন্দেহ হয়। গত শনিবার কোচবিহার থেকে ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার সটান হাজির হয় পটাশপুর থানায়। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে পিন্টুর বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানায় তাঁরা। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ রবিবার রাতে অভিযুক্ত যুবককে পাকড়াও করে। ধৃতের কাছ থেকে ভুয়ো পুলিশের পোশাক পরা ছবি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একই কায়দায় পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় এক যুবক পাকড়াও হয় ভুপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া বাজার এলাকায়। রূপক কুমার মাইতি নামের সেই যুবকের বাড়িও পটাশপুর থানার সন্দলপুর গ্রামে। তাঁর কাছ থেকে পুলিশের পোশাক ও ভুয়ো আইডি কার্ড উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাতেও অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চলছে।