পূর্ব মেদিনীপুর.ইন : জামাই ষষ্ঠীর দিন পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর থানার পদ্মতামলি গ্রামের ঝর্ণা মাইতি (১৯) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। ওই দিন বাড়ির মধ্যে থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু পুলিশকে কিছু না জানিয়েই মৃতদেহটি সৎকার করে দেয় পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই মৃতের বাড়িতে হাজির হয় ভুপতিনগর থানার পুলিশ। যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, প্রমাণ লোপাট সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে মৃত যুবতীর বাবা নগেন্দ্রনাথ মাইতি’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ পাশাপাশি কি কারনে এই মৃত্যু তারও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত ঝর্না মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর মহাবিদ্যালয়-এর প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। কিছুদিন আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে ভূপতিনগরের এক্তারপুর এর এক যুবকের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ের স্থির হয় তাঁর। ইতিমধ্যে ওই যুবকের সঙ্গে বিবাহ রেজিস্ট্রি পর্ব সেরে ফেলা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক বিয়ের পর্ব সারা হয়নি এখনও।
বর্তমানে বাপের বাড়ীতে থেকেই পড়াশুনা করত ওই যুবতী। এরই মাঝে ভূপতিনগরের উৎবাদল গ্রামের এক মোবাইল দোকানের মালিকের সঙ্গে যুবতীর ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। এই নিয়ে পরিবারে অশান্তিও হয়। ঘটনাটি নিয়ে ঝর্নাকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা ভৎর্সনা করেন।
এরপরেই জামাইষষ্ঠীর দিন বাড়িতে মেয়েটির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পুলিশকে কিছু না জানিয়ে কেন যুবতীর দেহ দাহ করা হল তা নিয়েই ধ্বন্দ্বে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা কি কিছু লুকাতে চেয়েছিল নাকি মৃতদেহ দাহ করার পেছনে অন্য কোনও কারণ ছিল তা জানতেই জোরদার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে ভুপতিনগর থানা সূত্রে জানা গেছে।