পূর্বমেদিনীপুর.ইন : পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার প্রত্যন্ত পশ্চিম চিলকা গ্রামের বাসিন্দা শচীনন্দন সামন্ত। তিনি পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। আর পাঁচটা মানুষের সঙ্গে তাঁর ব্যতিক্রম হল, এই ব্যক্তি একজন গাছ পাগল মানুষ। গত কয়েক দশক ধরে কংসাবতী নদীর পাড়ে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বৃক্ষ রোপণ করে চলেছেন নিজের সর্বস্ব বিনিয়োগ করেই।
এর জন্য নিজের জমানো টাকার পাশাপাশি পেনশনের টাকা থেকেও প্রতিদিন গাছ রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষন করেই চলেছেন। গাছের সেবায় তাঁর নিয়োজিত প্রাণ।
এক সময় ১৯৬১ সালে ময়নার রামচন্দ্র রাইসুদ্দিন হাইস্কুলে তিনিকরণিক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। তখন থেকেই বিদ্যালয় চত্বরে শুরু হয় তাঁর বন সৃজনের কাজ। পরবর্তীকালে নিজের দক্ষতায় তিনি ওই স্কুলেই বাংলা শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। আর সময়ের সাথে সাথেই তাঁর প্রকৃতি প্রেম ক্রমেই বেড়ে গিয়েছে।
পরবর্তীকালে তিনি নিজের বাড়ির সামনে থেকে বয়ে যাওয়া কংসাবতী নদীর পাড়ে বৃক্ষ রোপণ শুরু করেন। যে সমস্ত গাছ হারিয়ে যেতে বসেছে সেগুলোই নিয়ে এসে লাগাতে থাকেন তিনি।
তাঁর এই কাজের প্রসার ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে দূর দূরান্তে। অবশেষে ২০০২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ‘ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী বৃক্ষমিত্র’ পুরস্কারে ভূষিত করে। তাঁর এই কাজে সহযোগী শচীনন্দন বাবুর স্ত্রীও। স্বামীর সঙ্গে তিনিও গাছ রক্ষণাবেক্ষনে নিয়মিত সহযোগিতা করে থাকেন।
এই কারনেই বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁকে অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যেমন তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তেমনই সেই এলাকার মানুষকেও বৃক্ষ রোপণে উৎসাহিত করেন শচীনন্দনবাবু।
জেলা খবরের আপডেট পেতে এইখানে ক্লিক করুন – Whatsapp