চন্দন বারিক, পূর্বমেদিনীপুর.ইন : গুটিয়ে আনা হচ্ছে তদন্তের জাল। তারই জেরে মেচেদায় ট্রেনের কামরায় সুটকেশের মধ্যে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ কান্ডে নতুন করে আরও ২ জনকে আটক করেছে পাঁশকুড়া জিআরপি থানার পুলিশ। ধৃতরা দিঘার হোটেল লিজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য ব্রোকারের কাজ করে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে দিঘার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে গৌতম জানা ও দুর্গাশংকর সেনাপতি নামের দু‘জনকে পাকড়াও করে পাঁশকুড়া জিআরপি পুলিশ। বুধবার ধৃতদের দিঘা থেকে পাঁশকুড়া নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গতঃ গত ২৬ ফেব্রুয়ারী হাওড়া-মেছেদা লোকাল ট্রেনের কামরা থেকে পরিত্যক্ত সুটকেশের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল কলকাতার বৌ বাজার এলাকার সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী হাসান আলির দেহ।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই ৪ হোটেল ব্রোকারের নাম সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে। আর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এই হোটেল ব্রোকাররা গায়েব হয়ে যায়। তারপর থেকেই পাঁশকুড়া জিআরপি পুলিশ এই হোটেল ব্রোকারদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে।
মঙ্গলবার একজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এলাকা থেকে তৌহিজ উদ্দিন শেখ ওরফে রাজু হালদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় রাজু‘র জড়িত থাকার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। এবার ধৃতদের আরও জেরা করলেই কিভাবে গোটা ঘটনা তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।