মিলন পন্ডা, পূর্বমেদিনীপুর.ইন : তিনি পেশায় গ্রামের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। কিন্তু রোজগার ঠিক মনোমত হচ্ছিল না। আর তাই রোজগার বাড়াতে চিকিৎসক তাঁর চেম্বারের মধ্যেই ফেঁদে বসেছিল অবৈধ চোলাইয়ের কারবার।
আর চিকিৎসকের ওই চেম্বারে ব্যবসা চালাতে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করত গ্রামেরই এক গৃহবধূ। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার তাপিনদা বাজারে। গ্রামবাসী মহিলারা একজোট হয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
তাঁরা হাতে পোষ্টার নিয়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পথে নামেন। তাঁদের অভিযোগ, অবৈধ চোলাই মদের রমরমার জেরে গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতেই অশান্তি লেগে রয়েছে। ছেলেরা মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে মহিলা ও বাচ্চাদের ওপর মারধর অত্যাচার চালাচ্ছে।
এই কারনেই গ্রামের মহিলা বাহিনী গিয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে হানা দেয়। ওই চিকিৎসক ডাক্তারির আড়ালে চোলাই মদ ও জুয়ার আসর বসাৎ বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। আর সেই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করত গ্রামের এক মহিলা।
গ্রামের মহিলারা এক জোট হয়ে ডাক্তারের চেম্বারের হানা দিয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে বেশ কয়েক চোলাই মদের বোতল। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় পটাশপুর থানার পুলিশ। এরপর স্থানীয় মহিলারা কিছুক্ষনের জন্য রাস্তা অবরোধ করেন।
পরে পটাশপুর থানার পুলিশ গিয়ে ডাক্তারের চেম্বার থেকে কয়েক বোতল চোলাই মদ সহ ডাক্তার বিশ্বরঞ্জন পাত্রকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে কাঁথি আদালতে তোলা হয়েছে৷


