পূর্বমেদিনীপুর.ইন, ভুপতিনগর : পরপর দুটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকেই পরিবারের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছিল গৃহবধূ। কথায় কথায় শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
সেই গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরেই অবশেষে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ। সোমবার গভীর রাতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত গৃহবধূর নাম লিলি পাত্র (২৮)। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ভুপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া গ্রামে।
এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আগেই গৃহবধূর স্বামী হীরালাল পাত্র ও শ্বাশুড়ি শুভাশিনী পাত্রকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৩ সালে এক্তারপুরের বাসিন্দা লিলি দাসের সঙ্গে ইটাবেড়িয়ার হীরালাল পাত্রের অনুষ্ঠান করেই বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তাঁদের পরিবারে পরপর দুই কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। আর তারপর থেকেই পরিবারের লোকেরা ওই গৃহবধূকে আর সহ্য করতে পারেনি। যদিও ছেলে বা মেয়ে জন্ম দেওয়ার পেছনে যে মহিলার কোনও ভূমিকাই থাকে না তা অস্বীকার করেন পরিবারের লোকেরা।
স্বামী ও শ্বাশুড়ি কারনে অকারণে গৃহবধূর ওপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতে থাকে। যা এক সময় সহ্যের বাইরে চলে যায়। আর এর জেরেই ওই গৃহবধূ গত ২ ফেব্রুয়ারী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে নেন। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে রাখা হয়েছিল। তবে সোমবার মৃত্যু হয়েছে তাঁর।