পূর্বমেদিনীপুর.ইন : সারা দেশের শ্রেষ্ঠ মাছ চাষীদের মধ্যে জায়গা করে নিল রাজ্যের তিন মৎস্যজীবি। আর এরা ৩ জনই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার মাছ চাষী বলে জানা গেছে। নিত্য নতুন অভিনব পদ্ধতির সফল প্রয়োগ, জৈব উপায়ে পরিবেশ বান্ধব চাষ ও বৈচিত্রময় মাছের সফল চাষে হলদিয়া রাজ্যে রোল মডেল হয়ে উঠেছে।
এখন শুধু রাজ্যে নয়, সারা দেশে মাছ চাষে এক নতুন পথ দেখাচ্ছে হলদিয়া। আমুর, মিল্ক ফিস, গিফট তেলাপিয়া, পেংবার মতো নতুন নতুন মাছের সফল চাষ হয়েছে হলদিয়ায়। আবার মাগুর, শিঙি, কৈ, পাবদা, গুলসা টেংরার মতো হারিয়ে যাওয়া মাছের বানিজ্যিক চাষ করেও তাক লাগিয়ে দিচ্ছে হলদিয়ার মাছ চাষীরা।
আর এই মাছ চাষে ব্যবহার করছে জৈব জুস। বিভিন্ন জাতীয় মাছের পরিবেশ বান্ধব জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চাষ করে হলদিয়ার মাছ চাষিরা এখন শুধু রাজ্যে নয় দেশের সেরা হয়ে উঠেছে তারা।
হলদিয়া ব্লক মৎস্য সম্প্রসারন আধিকারিকের কাছে জাতীয় সেরা মাছ চাষীর স্বীকৃতি সংক্রান্ত চিঠি এসে পৌছেছে। বুধবার ১০ই জুলাই “কেন্দ্রীয় মিষ্টি জলের মাছের গবেষনা কেন্দ্র” (সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্রেস ওয়াটার একুয়াকালচার) এর মৎস্যচাষী দিবস অনুষ্ঠানে মৎস্য চাষের সফলতার স্বীকৃতি স্বরূপ সারা দেশের বাছাইকরা সেরা মাছ চাষিদের দেওয়া হবে শ্রেষ্ঠ সম্মাননা।
এ মাছ চাষে ‘শ্রেষ্ঠ সম্মাননা’ অর্জন করতে ঊড়িষ্যার রাজধানী শহর ভুবনেশ্বরে অবস্থিত রাষ্ট্রীয় মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন আমাদের রাজ্যের তিন জন মাছ চাষি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া ব্লকের দ্বারিবেড়িয়া গ্রামের অরুপ মন্ত্রী, বসান চক গ্রামের শরত চন্দ্র ভৌমিক, ও ডিঘাসিপুর গ্রামের কৃষ্ণ প্রসাদ সামন্ত।
হলদিয়া ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, প্রায় জৈব পদ্ধতি অবলম্বন করে গুনগতমান বজায় রেখে স্বাস্থ্যকর মাছ উৎপাদন করাই হলদিয়ার মাছ চাষিদের প্রধান বৈশিষ্ট। শুধু মাছ চাষ করে নিজের আয় বাড়ানোটাই মুখ্য নয়, দেশের বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া মাছের বানিজ্যিক চাষের মাধ্যমে আবার ফিরিয়ে আনার এক অদম্য উদ্যোগ রয়েছে মাছ চাষিদের মধ্যে।


