মিলন পন্ডা, পূর্বমেদিনীপুর.ইন : পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ প্রধান ও সঞ্চালককে খুনের চেষ্টা সহ পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগে অবশেষে এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পটাশপুর থানার পুলিশ বিজেপি নেতা মোহললাল সী’কে গ্রেফতারের পর শুক্রবার তাঁকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলে। এরপরেই বিচারক ধৃত বিজেপি নেতার জামিন নাকচ করে তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের বাড়ি পটাশপুর থানার সালমাবাদ গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর পটাশপুরের গোপলাপুর পঞ্চায়েতে যাওয়ার পথে তৃনমুলের উপ প্রধান প্রভুরাম দাস ও সঞ্চালক মণীন্দ্রনাথ গিরিকে রাস্তায় ঘিরে ধরে কয়েকজন বিজেপি নেতা সর্মথক ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ।
আর এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বিজেপি নেতা মোহনলাল সী’র বিরুদ্ধে। ওই উপপ্রধানকে কাঠের বাটাম ও লোহার রড দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পটাশপুর থানার পুলিশ হাজির হয়।
পুলিশ উপপ্রধান ও সঞ্চালককে উদ্ধার করতে গেলে রনক্ষেত্রের চেহরা নেয় এলাকা। পুলিশ ও বিজেপি কর্মী সর্মথকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। কোন ক্রমে উপপ্রধান ও সঞ্চালককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বিজেপি কর্মী সর্মথকরা এই সময় পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
এরপর পুলিশ ও বিজেপি কর্মী সর্মথকদের হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ এই ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ৭ জনকে গ্রেফতারের পর তাঁদের কাঁথি আদালতে হাজির করে। তারা এখন জেল হাজতে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পটাশপুর সিংদা মোড় থেকে মূল অভিযুক্ত মোহললালকেগ্রেফতার করে। পটাশপুর থানার ওসি রাজকুমার দেবনাথ বলেন, এই ঘটনাটি মোহললাল সী’র নেতৃত্বে হয়েছে। তবে ঘটনার পর থেকেই ওই বিজেপি নেতা এলাকা ছাড়া ছিল।
বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। যদিও বিজেপির কাঁথি সংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর অভিযোগ, প্রভুরামের বিরুদ্ধে বহু টাকার কাটমানি তোলার অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার দিন সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ঝাঁপিয়েছিল। এখন ওই তৃণমূল নেতাকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিজেপি নেতাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় তৃনমুল নেতা তাপস মাঝি বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর বিজেপি নেতা মোহললাল সী;র নেতৃত্বে প্রভুরামের ওপর হামলা হয়েছিল। পুলিশ তা তদন্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আইন আইনের পথেই চলবে। এই ব্যাপারের আর বেশি মন্তব্য করতে রাজী হননি তিনি।