পূর্বমেদিনীপুর.ইন : রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতোই ইয়স ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন করেছেন নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে। ড্রপ বক্সে নির্দিষ্ট ফর্ম সহ ক্ষয়ক্ষতির ছবি দিয়ে আবেদন করেছেন বহু মানুষ। তবে ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়েই ঘটছে বিপত্তি। প্রশাসন সূত্রে খবর, বহু ক্ষেত্রেই আবেদন পত্রের সঙ্গে দেওয়া ক্ষয়ক্ষতির ছবির সঙ্গে ঘটনাস্থলের মিল খুঁজে পাচ্ছেন না আধিকারীকরা।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার আবেদন গ্রহণের শেষদিন ছিল। এই পর্যন্ত জেলা জুড়ে প্রায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার মানুষ ক্ষতিপূরণের দাবীতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে শেষদিনেই আবেদন জমা পড়েছে সব থেকে বেশী। এই আবেদনের ওপর ভিত্তি করেই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রকৃত চিত্র খতিয়ে দেখছেন আধিকারীকেরা।
পূর্ব মেদিনীপুরে সব থেকে বেশী আবেদন এসেছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক থেকে। যেখানে প্রায় ১৯ হাজার ৮৪৬ জন ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছেন। এছাড়াও আবেদন জমা পড়েছে খেজুরি-২ ব্লকে ১৯ হাজার ২৪টি, কাঁথি’র দেশপ্রাণ ব্লকে ১২ হাজার ১৪৩টি, রামনগর-১ ব্লকে ১১ হাজার ৯২০টি, চন্ডীপুর ব্লকে ১১ হাজার ৫৭টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্তের আবেদন জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৯৩টি এবং আংশিক ক্ষয়ক্ষতির আবেদন পড়েছে ৫৬ হাজার ৯৬৪টি।
রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এবার ঘটনাস্থলে গিয়ে আবেদনকারী সহ তাঁর বাড়ি, ক্ষতিগ্রস্ত পান বরজ বা আবেদনপত্রের সঙ্গে দেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত জায়গার ছবি মিলিয়ে ছবিগুলি দুয়ারে ত্রাণ অ্যাপে আপলোড করতে হবে। আর এখানেই ঘটছে বিপত্তি। বহু ক্ষেত্রেই উম-পুন এর সময়কার ছবি দেওয়া হয়েছে বলে এনকোয়ারি কমিটির আধিকারীকদের একাংশ জানিয়েছেন।
তবে এবার রাজ্য সরকারের কড়া নির্দেশ, কোনও ভাবেই যেন ভুয়ো আবেদনকারী ক্ষতিপূরণ নিতে না পারেন। এরজন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারীকদের বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।