ছবি- প্রতীকি |
পূর্বমেদিনীপুর.ইন : মোট জনসংখ্যা যতটা তার চেয়েও বেশ কয়েকলক্ষ বেশী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিলি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। কিভাবে এমনটা হল তা খুঁজে দেখতে জোরদার তৎপরতা শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসনের অন্দরে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের মোট পরিবার যেখানে ১১ লাখ সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে ১৪ লাখ। এই ভুয়ো কার্ডের সন্ধান করে সেগুলিকে দ্রুত বাতিলের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
কিন্তু কিভাবে তৈরি হল এত বেশী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে, যেখানে পরিবার পিছু একটি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বরাদ্দ রয়েছে সেখানে একই পরিবারের একাধিক মহিলা সদস্য আলাদা আলাদা ভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদন করে এই বিড়ম্বনা তৈরি করেছেন। প্রশাসনের ধারণা, একটি কার্ডে ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে জেনে চিকিৎসায় অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা পাওয়ার আশায় ২টি বা ৩টি কার্ড তৈরি করেছে বহু পরিবার।
কিভাবে এই সমস্যার সমাধান হবে ? এরজন্য খাদ্যসাথী প্রকল্পকে হাতিয়ার করতে চাইছে জেলা প্রশাসন। খাদ্যসাথী কার্ডে এক পরিবারের যতজন সদস্যের নাম রয়েছে ততজনের জন্য একটিই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইস্যু হবে। এক্ষেত্রে খাদ্যসাথী প্রকল্পে ও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে যে আধার সংযুক্তি রয়েছে সেই আধারের তথ্য দিয়েই অতিরিক্ত সাস্থ্যসাথী কার্ড চিহ্নিত করা হবে। এবং সেগুলিকে দ্রুত বাতিল করে দেওয়া হবে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাঝি বলেন, “বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা আলাদা আলাদা করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। আধার কার্ডের মাধ্যমে একই পরিবারের সদস্যদের একটি কার্ডের আওতায় আনার কাজ চলছে।”
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp