মিলন পন্ডা, পূর্বমেদিনীপুর.ইন : প্রেমে ঘোরতর আপত্তি পরিবারের। তারই মাঝে বৃহস্পতিবার বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হল দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। মৃত ছাত্রীর নাম বনলতা জানা (১৭)। তাঁর বাড়ি এগরার অর্জুন নগরে। বনলতা অর্জুনী হাইস্কুলের দ্বাদশশ্রেনীর ছাএী।
অন্যদিকে তার প্রেমিক সমীর দাসের বাড়ি এগরার গড়িয়া গ্রামে। ছেলেটি পানিপারুল মুক্তেশ্বর হাইস্কুলের দ্বাদশশ্রেনীর ছাত্র। বনলতার বাবা বলরাম জানার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তার মেয়েকে রাস্তায় শ্লিলতাহানী করেছিল প্রেমিক। এমনকি তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ।
সেই কাজে প্রেমিকের বাবা সিদ্ধেশ্বর দাস ছেলেকে সব ভাবে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরপরেই এগরা থানার পুলিশ প্রেমিকের বাবাকে গ্রেফতার করেছে। তবে সমীর পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
যদিও সমীরের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের ছেলের সঙ্গে মেয়েটির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই দুই পরিবারে চূড়ান্ত বিবাদ শুরু হয়। দুই পরিবারই ছেলে ও মেয়েকে প্রেম থেকে সরে আসার জন্য চাপ দিতে থাকে।
এই কারনেই দিন ১৫ আগে সমীর বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে নেয়। তবে পরিবারের লোকেরা ঘটনা দেখতে পেয়েই তাঁকে উদ্ধার করে এগরা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে সমীর।
বৃহস্পতিবার সমীর ও বনলতা টিউশান পড়তে গিয়েছিল স্থানীয় এক শিক্ষকের কাছে। সেখান থেকে দু’জনে একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। আর তা দেখে ফেলে বনলতার পরিবার। তারা রাস্তাতেই সমীরকে মারধর করে। সেই সঙ্গে বনলতাকেও মারতে মারতে বাড়ি নিয়ে আসে।
সমীরের পরিবারের দাবী, এই ঘটনার পরেই বনলতা বাড়িতে থাকা কীটনাশক খেয়ে নেয়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হলেও সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তাই সমীর ও তার বাবার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবী সমীরের পরিবারের।
অন্যদিকে বনলতার বাবা বলরাম জানা এগরা থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, তাঁর মেয়ে টিউশান পড়ে বাড়ি ফেরার সময় সমীর তার শ্লীলতাহানী করে এবং ধর্ষণেরও চেষ্টা করে। এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারীক আফতার আলি খাঁন বলেন, অভিযোগ পেয়ে সমীরের বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ পুরো বিষবটি তদন্ত করে দেখছে। এগরা থানার ওসি রবি গ্রাহিকা বলেন, দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার মৃতদেহটি কাঁথি হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।