পূর্বমেদিনীপুর.ইন : উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী বান্ধবীকে সমূদ্র দেখানোর নাম করে দিঘার হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। মেয়েটি প্রথমে কাউকে কিছু না জানালেও বেশ কিছুদিন পর সে বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরেই মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ধর্ষিতার পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানালে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত। তবে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে গুণধর ছেলেটি বাড়িতে ফিরেছে। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে কাঁথির মহিলা থানার পুলিশ। ধৃত যুবক মারিশদা থানার বলাগেড়িয়ার বাসিন্দা রাজীব কামিলাকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতবছর রাজীব কামিলার সঙ্গে কাঁথির বাসিন্দা ওই উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রীর ফেসবুকে আলাপ হয়। বন্ধুত্ব গাঢ় হয় নভেম্বরে যখন দু’জনের মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়। কর্মসূত্রে ভীন রাজ্যে থাকা যুবকের প্ররোচনায় পা দিয়ে গত জানুয়ারীতে কাউকে কিছু না জানিয়েই তাঁর সঙ্গে দিঘা ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। সেখানেই সমূদ্র দেখার পর ওই ছাত্রীকে হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তবে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয় দেখায় যুবকটি।
আতংকগ্রস্ত মেয়েটি বাড়ি ফিরে কাউকে কিছু না জানালেও দিন কয়েক পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তখনই পরিবারের লোকেদের গোটা ঘটনা জানায় মেয়েটি। এরপরেই মেয়েটির পরিবার গত ১৯ জানুয়ারী কাঁথির মহিলা থানায় ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তবে অভিযোগের খবর পেয়েই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত রাজীব। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
বিচারক তার জামিন নাকচ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৬৩, ৩৭৬ (১) ও পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কাঁথি মহিলা থানার ওসি অষ্টমী সাহু বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরোও ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রেম সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও তদন্তের কারণে বেশি কিছু তথ্য জানাতে রাজি হননি তিনি।