পূর্বমেদিনীপুর.ইন : ফি বছর অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন ওঁরা। । কারণ, এই দিনটিতেই যে ঘটা করে দেওয়া হয় বড়ির বিয়ে। যা শুভ দিনের সূচনা করে বলেই মনে করেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের মল্লিক পরিবার।
কোন পূর্ব পুরুষের আমলে শুরু হয়েছিল এই রীতি তা অজানা। তবে এই প্রথা আজও অমলিন ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। মহিষাদলের বড়ি ইতিমধ্যে জগৎ বিখ্যাত হয়ে গিয়েছে। এই বড়ির GI তকমা নিয়ে চলছে তোড়জোড়।
তবে এমন রীতি বাংলার আর কোথাও বজায় রয়েছে কিনা তার হদিশ খুব একটা মেলেনা। এই বিয়ের জন্য কোনও সানাই বাজে না। তবে বর যাত্রী ও কনে যাত্রী কিন্তু থাকে। এই পুজোর রীতি হল, স্নানের পর পরিষ্কার পোষাকে বিউলির ডাল বাটা হয়। এরপর পেতলের রেকাবে সাজিয়ে রাখা হয় বড়ি।
একদিকে বর সহ বরযাত্রী আর অন্যদিকে কনে সহ কনে যাত্রী। বাড়ির ঠাকুর দালানে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে শাঁখ বাজিয়ে ফুল দিয়ে বড়ির বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। মল্লিক বাড়ির গিন্নিমা মণিকা মল্লিক জানিয়েছেন, বড়ির বিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করেন তাঁরা।
এক সময় শাশুড়ি মায়ের কাছে এই রীতির হাতে খড়ি। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো বছর। এখন নিজেও সেই প্রথা বজায় রেখেই নিয়ম করে প্রতি বছরের অগ্রহায়ন মাসের বৃহস্পতিবার ঘটা করে বড়ির বিয়ের উৎসব পালন করেন।