পূর্ব মেদিনীপুর.ইন : মাদ্রাসার পরীক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শীর্ষস্থানে রইল কাঁথির গিমাগেড়িয়া ওয়েলফেয়ার হাই মাদ্রাসার দুই ছাত্র।
এর মধ্যে ৭২৬ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করেছে নন্দীগ্রাম থানার নীলপুরের বাসিন্দা সেক মুক্তার মহম্মদ এবং ৭১৫ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে হলদিয়ার ভবনীপুরের ইশ্বরদহ জালপাইয়ের বাসিন্দা সেক শাহ নাওয়াজ হোসেন। এরই পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সেরা দশের মধ্যে ৭ জনই এই মাদ্রাসার ছাত্র বলে জানা গেছে।
এছাড়া ৭০৬ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে এগরারকবসাগোলা হাই মাদ্রাসার ছাত্রী রেশমি খাতুন। ছাত্রছাত্রীদের এই সাফল্যে যারপরনাই খুশী গিমাগেড়িয়া ওয়েলফেয়ার হাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের তুলে এনে বিনামূল্যে বছরভর পড়াশোনার দায়িত্ব নেয় এই সংস্থাটি। সেখানকার ছাত্ররাই জেলার সেরা হওয়ায় খুশীর হাওয়া বইছে সর্বত্র।
গিমাগেড়িয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহমেদ হোসেন বলেন, সেক মুক্তারের বাবা দিনমজুরের কাজ করেন এবং কোনও ক্রমে সংসার সামলান। বাড়িতে এমন কৃতি ছাত্র থাকলেও তার পড়াশোনার খরচ যোগাতে অপারগ পরিবার।
অন্যদিকে সেক শাহ নাওয়াজ হোসেনও অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ছেলে। বাবা হলদিয়াতে একটি সংস্থায় স্বল্প বেতনে কর্মরত। এমন দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের কাঁথির গিমাগেড়িয়া ওয়েলফেয়ার হাই মাদ্রাসার আল-ফাকিহা আবাশিকে রেখে পড়াশুনার ব্যবস্থা করা হয়। এই পড়াশুনোর সমূহ খরচ প্রধান শিক্ষক নিজেই বহন করতেন বলে জানা গেছে।
এছাড়াও এগরায় তৃতীয় স্থান পাওয়া ছাত্রী রেশমি খাতুনের বাবাও এলাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। এমন গরীব পরিবারের ছেলেমেয়েরা চোখ ধাঁধানো ফল করায় খুশীর হাওয়া সর্বত্র।
সেক মুস্তাক ও সেক নওয়াজ জানিয়েছে ভবিষ্যতে তারা গরীব মানুষের সেবা করতে চায়। এই কারনে তাঁরা আগামী দিনে ডাক্তারী নিয়ে পড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে রেশমি খাতুন আগামী দিনে আরও পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চায় বলেই জানিয়েছে।
মোবাইলে আরও নিউজ আপডেট পেতে এইখানে ক্লিক করুন – Whatsapp