পূর্ব মেদিনীপুর.ইন : বোমা গুলির লড়াই বিস্তর দেখেছে নন্দীগ্রামের মানুষ। জমি আন্দোলনের সেই সময়কার লড়াইকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বহু ছায়াছবি। কিন্তু কখনও কেউ ভাবেননি প্রশাসনের নজরে দীর্ঘ অবহেলিত নন্দীগ্রামও এক সময় উজ্জ্বল হয়ে উঠবে নিয়ন আলোর ছটায়।
সেই আলো শুধু রাস্তার অন্ধকারই দূর করছে না। দূর করেছে মনের মধ্যে জমে থাকা অজ্ঞতার কালো ছবিটাকেও। আজকের নন্দীগ্রাম তাই সাক্ষী থাকতে চলেছে অনবদ্য এক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের। হোক না তা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। কিন্তু এই মঞ্চেই তো ফুটে উঠবে কত অচেনা অনুভুতির ছায়া ছবি।
আগামী রবিবার ২৩ জুন নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজে অনুষ্ঠিত হবে এই শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কত রঙ-বে-রঙের ছবি ফুটে উঠবে এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পর্দায়। যাকে ঘিরে স্থানীয় মানুষ থেকে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।
একদিনের এই উৎসবের উদ্যোগ নিয়েছেন কবি ও অধ্যাপক বিশ্বজিৎ মাইতি, চিত্রপরিচালক অরিজিৎ দে এবং কবি রাজকুমার আচার্য। সহযোগিতায় কলকাতার “ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম কাউন্সিল” (আইএফসি) এবং সীতানন্দ কলেজ।
উদ্যোক্তারা জানান, প্রান্তিক এলাকার মানুষজন ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শর্ট ফিল্ম সম্পর্কে ধারণা, চিন্তা ভাবনা ছড়িয়ে দিতেই এই উদ্যোগ। মোট কুড়িটি শর্ট ফিল্ম বা ছোটো সিনেমা দেখানো হবে। সময়ের দৈর্ঘ্যে সিনেমাগুলো সর্বনিম্ন ৩ মিনিট ও সর্বোচ্চ ৩০মিনিটের।
সীতানন্দ কলেজের প্রিন্সিপাল ড. সমু মাহালি উদ্যোক্তাদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ারের কোনো লিমিটেশন নেই, এই উৎসব তাদের কেরিয়ারে সহযোগিতা করবে।”
অধ্যাপক বিশ্বজিৎ মাইতি জানান, “শর্ট ফিল্ম শুরুর পূর্বে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট কয়েকজন। এই আলোচনার মাধ্যমে শর্ট ফিল্ম সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। ছাত্রছাত্রীরা বা যে কেউ এই বিষয়টিকে কেরিয়ার হিসাবে নিতে চাইলে তারা নানা দিকের হদিশ পাবেন।”
ইনডিপেনডেন্ট ফিল্ম কাউন্সিল (আইএফসি)-র পক্ষে সোম চক্রবর্তী বলেন, “ছোটো ছবিকে গ্রাম-গঞ্জে, মফস্বলে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে আইএফসি এবারে পাশে পেয়েছে নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজের অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রী এবং স্থানীয় মানুষদের।
সঙ্গে আছেন প্রখ্যাত প্রোডিউসার ও এডিটর অনির্বাণ মাইতি, “কিয়া এণ্ড কসমস” এর ডিরেক্টর সুদীপ্ত রায়, গণঅর্থায়ণে নির্মীয়মান চলচ্চিত্র “দুধ পিঠের গাছ” এর ডিরেক্টর উজ্জ্বল বসু। প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য তাঁর একটি ছবি এই উৎসবে দেখানোর অনুমতি দিয়েছেন।”
নন্দীগ্রামের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন এই উৎসবে সামিল হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এর পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই উৎসবে যোগদানের কথা জানিয়েছেন। নন্দীগ্রামে এই প্রথমবার এই উৎসব সফলতা নিয়ে নন্দীগ্রামের সংস্কৃতি জগতে নতুন অধ্যায় সূচনা করবে বলে উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস।
——- বিজ্ঞাপন ——-

——- বিজ্ঞাপন ——-
——- বিজ্ঞাপন ——-
——- বিজ্ঞাপন ——-
