পূর্বমেদিনীপুর.ইন : বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পনের জন্য চাপ দিত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই নিয়ে প্রায়শই চলত শারীরিক অত্যাচার, মারধর। একাধিকবার স্থানীয় স্তরে বিচার পঞ্চায়েতে মিমাংসা’র চেষ্টা হয়। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি।
এরপরেই গত মার্চ মাসে একদিন গৃহবধূকে বাড়ির মধ্যে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে গত ২৫ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত মহিলার নাম সুতপা দে (২৭)। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর থানার হীরাপুর গ্রামে।
এই ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দেয় মহিলার স্বামী। তাঁর বিরুদ্ধে রামনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা দিঘার বিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা গণেশচন্দ্র জানা। তবে বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত স্বামী গোপনে বাড়ি ফিরেছে।
এরপরেই পুলিশ রাতের বেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে পাকড়াও করে। ধৃতকে শুক্রবার কাঁথি মহকুমা আদালতে নিয়ে গেলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর আগে সুতপা‘রসঙ্গে ননীগোপালের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই পণের দাবীতে গৃহবধুর ওপরে নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়িরলোকেরা। রামনগর থানার পুলিশ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।