পূর্ব মেদিনীপুর.ইন : দিন কয়েক হল গভীর সমূদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাঞ্জা উঠেছে। গত কয়েকমাস ধরে অপেক্ষার পর ট্রলারগুলো ছুটছে সমূদ্রে মাছ ধরার নেশায়। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই শঙ্করপুর মৎস্য বন্দরের দখলকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।
শনিবার সকালে শঙ্করপুর মৎস্য বন্দরের ৩টি ঘাটেরই দখল নিয়েছে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের দাবী, অধিকাংশ শ্রমিক তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। তাই বিজেপির শ্রমিকরাই কাজ করবে। এর ফলে আজ সকাল থেকেই কাজ হারিয়েছে তৃণমূলের প্রায় ৮০ জনের মতো শ্রমিক।
জেটিতে কাজ করতে না পেরে তৃণমূলের শ্রমিকেরা মৎস্য বন্দরে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে প্রশাসন। এদিন রামনগর-১ ব্লকের বিডিও আশীষ কুমার রায়ের পৌরহিত্যে দুই পক্ষকে নিয়ে ব্লক অফিসে বৈঠক করা হয়।
সেই বৈঠকে রামনগর এক পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শম্পা মহাপাত্র, কাঁথি পুলিশের সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজয় মুখার্জি, রামনগর থানা, মন্দারমনি কোস্টাল থানা, দিঘা মোহানা থানার ওসিরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে সেই বৈঠকে প্রশাসনের সমঝোতার চেষ্টায় জল ঢেলে বিজেপির দাবী, তারা সবকটি ঘাটের দখল নিয়েছে। এর থেকে কোনওভাবেই তারা সরবে না। ঘাটে এখন থেকে বিজেপির শ্রমিকেরাই কাজ করবে। অন্যদিকে প্রশাসন থেকে ৭ দিনের সময় চাওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানা গেছে।
![]() |
শংকরপূর মৎস্য বন্দরে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সহ অন্যান্যরা |
প্রসঙ্গতঃ গতবছর প্রথমবার শঙ্করপুর মৎস্য বন্দরের শ্রমিকদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়। তারপরেই সেখানে অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল। সেবার প্রশাসনের তরফে দুটি ঘাটে বিজেপির শ্রমিকরা এবং একটি ঘাটে তৃণমূলের শ্রমিকেরা কাজ করবে বলে মিমাংসা করে দেয়।
তবে এবার বিজেপি তিনটি ঘাটেরই দখল নিল বলে দাবী করেছে। তাঁদের দাবী, শ্রমিকদের প্রায় অধিকাংশই বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। তাই সবকটি ঘাটের দখল নিল তারা। এখন দেখার, এবার অচলাবস্থা কিভাবে কাটবে, নাকি সামনে কোনও বড়সড় সমস্যা অপেক্ষা করছে।


——- বিজ্ঞাপন ——-
