পূর্বমেদিনীপুর.ইন : শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরের এক মৎস্যজীবীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অবশেষে একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মৎস্যজীবিকে খুন করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জেরায় স্বীকার করেছে বলে দাবি।
এরা দুই জন একই ট্রলারে কাজ করত বলে জানা গেছে। ধৃত রতন সিকদার মুশিদাবাদ জেলার লালগোলা থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতকে শুক্রবার কাঁথি আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আপিল করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গতঃ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মৎস্যবন্দরের কর্মী সাধন হালদার (৪১)-এর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠায়। রাতেই মৃত সাধনের ছেলে শুভ্রময় হালদার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে রতনকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে, মুর্শিদাবাদ থেকে বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবি শঙ্করপুরে ট্রলারের কর্মী হিসাবে কাজ করত। সূএের খবর সাধন রতনের মজুরির টাকা নিয়ে নেয়। সেই সঙ্গে রতনের পরনের নতুন জামা ছিঁড়ে দেয় সাধন।
এই নিয়ে দুইজনের বচসা শুরু হয়। উত্তেজিৎ হয়ে রতন কাঠের বাটাম দিয়ে সাধনের মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলে সাধন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারীক অভিশেষ চক্রবর্তী বলেন, খুনের তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে হেফাজতে চাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।