পূর্বমেদিনীপুর.ইন : রাতের খাওয়া তখন মাঝপথে। এমন সময় হঠাৎই কিছু একটা ভেঙে পড়ার শব্দ। আর তারপর সব অন্ধকার। প্রতিবেশীর মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ল একই পরিবারের ৪ জন। এদের মধ্যে ৩ জনকে জীবন্ত উদ্ধার করা গেলেও প্রাণ হারিয়েছেন পরিবারের কত্রী।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার শিমুলিয়া গ্রামে। মৃত মহিলার নাম মায়া মন্ডল (৪৫)। এই মুহূর্তে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর স্বামী উত্তম মন্ডল এবং ছেলে সুরজ ও সুমন তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বড় ছেলে তমলুক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আর ছোট ছেলে সুমন তমলুক কুরপাই হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীতে পড়ে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে উত্তমবাবু জানান, রাত্রি প্রায় ১০টা নাগাদ তাঁরা ভাত খেতে বসেছিলেন। আর কয়েক হাত দূরে রান্না করা খাওয়ার গোছাচ্ছিলেন স্ত্রী মায়া। সেই সময় হঠাৎই কিছু একটা ভেঙে পড়ার আওয়াজ আসে।
কি ঘটেছিল দেখুন ভিডিওটি, কি বলছেন আহতরা শুনে নিন-
আর তারপর সব অন্ধকার হয়ে যায়। তাঁরা আর কিছুই জানেন না। জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে হাসপাতালে দেখতে পান। স্ত্রী মারা যাওয়ার ঘটনাটি তিনি পরে জেনেছেন।
অন্যদিকে ছেলে সুরজ জানিয়েছে, তাদের পাশের বাড়ির বাসিন্দা শত্রুঘ্ন মন্ডল এবং ভরত মন্ডল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছে। তাই তাদের মাটির বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছিল। আর পাশেই ছোট্ট টালির বাড়িতে থাকত সুরজ সহ তাদের পরিবার। খাওয়া দাওয়ার মাঝপথে হুড়মুড়িয়ে দেওয়াল ভেঙে পড়লে তাঁরা ৪ জনেই চাপা পড়ে যায়।
পরে প্রতিবেশীরা এসে প্রথমে তাঁকে উদ্ধার করে। এরপর একে একে ভাই, বাবা ও মা’কে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মা দীর্ঘক্ষণ ধরে দেওয়ালের তলায় চাপা পড়ে থাকায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।