পূর্বমেদিনীপুর.ইন : সরকারি সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ, কোনোও কর্মক্ষেত্র থেকে কর্মী ছাঁটাই না করা, লকডাউনে কাজ হারানো মানুষদের কাজে পুনর্বহাল করা, পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা সুনিশ্চিত করা, পরিযায়ী শ্রমিক ও গৃহশিক্ষক সহ সকল কর্মহীন যুবকদের কাজ অথবা ন্যূনতম মাসিক ৮,০০০ টাকা ভাতার দাবীতে ডি এম অফিসে বিক্ষোভ-ডেপুটেশন দিল যুব সংগঠন AIDYO’র পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্যরা৷
বুধবার তমলুক হাসপাতাল মোড় থেকে সংগঠনের কর্মীরা মিছিল করে ডি.এম. অফিস পর্যন্ত যায়৷ এই কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি স্নেহলতা সাহু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মঞ্জুশ্রী মাইতি, গোপাল সিংহ, আশীষ দোলাই প্রমুখরা৷
প্রবল আর্থিক সংকট, বেকার সমস্যা,মূল্যবৃদ্ধি, কৃষিক্ষেত্রে বিপর্যয়, ছাঁটাই সহ অগণিত সমস্যায় বিপর্যস্ত জনজীবনের ওপর নেমে এল নভেল করোনা অতিমারি ও বিধ্বংসী ঝড়ের ভয়াল আক্রমণ। আজ মানুষের জীবন-জীবিকা বিপন্ন৷ অগণিত মানুষ কর্মচ্যুত৷
ঝড়ে ঘর-বাড়ি ও কৃষিজ ফসলের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ পরিসংখ্যান বলছে, লকডাউনের জেরে সারা দেশে কমপক্ষে ১০ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে৷ দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা কর্মহীন৷ অকল্পনীয় যন্ত্রণা ভোগের মধ্য দিয়ে জীবন-মৃত্যুকে পাথেয় করে রাজ্যে ফিরলেও এই দাসশ্রমিকদের দুর্ভোগ কাটেনি৷
এদের একটা অংশের ঠিকানা কোয়ারেন্টিন সেন্টার৷ কিন্তু সেন্টারগুলির পরিকাঠামো, খাদ্য, পানীয় জল, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ইত্যাদি প্রশ্নে অব্যবস্থার অভিযোগ উঠছে৷ অথচ এই সমস্ত প্রশ্নে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নির্বিকার৷
এই পরিস্থিতিতে যুব সংগঠন AIDYO’র পঃবঃ রাজ্য কমিটি ১০—১৭ জুন ‘দাবী সপ্তাহ‘ ঘোষণা করে৷ ১৫ ই জুন রাজ্যজুড়ে ব্লক ও মহকুমা শাসক অফিসে উক্ত দাবীগুলির ভিত্তিতে বিক্ষোভ-ডেপুটেশন করা হয়৷
SUCI (c) দলের যুব সংগঠন AIDYO’র জেলা সম্পাদক ইরফান আলী এক বিবৃতে বলেন,” পরিযায়ী শ্রমিক সহ সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষ চূড়ান্ত সংকটের মধ্যে পড়েছে৷ তাদের জীবন-জীবিকাকে ঘিরে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে৷ ব্যাপক কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে নিয়োগকারী সংস্থাগুলি৷
সরকার এদের দোসর৷ অন্যদিকে এই অসহায় শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষার জন্য কেউ নেই ৷তাই এদের বাঁচার লড়াইকে গড়ে তোলার জন্য এগিয়ে এসেছে বিপ্লবী যুব সংগঠন AIDYO৷ সকলকে এই লড়াইয়ের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে৷