দীপক প্রধান, পূর্বমেদিনীপুর.ইন : প্রায় সাড়ে ৬ বছর আগে গ্রামেরই একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সুতাহাটার ভুপতিনগর গ্রামের যুবক সাগর পড়ুয়া। কিন্তু এখন স্ত্রী বাপের বাড়িতে গিয়ে আর ফিরছে না। এমনকি ডিভোর্স চেয়ে বারবার চাপ দিচ্ছে।
ওই যুবকের দাবী, তাঁর স্ত্রী’কে ভুল বুঝিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তাই নিজের ভালোবাসাকে পুনরায় ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনের রাস্তায় রীতিমতো পোস্টার সেঁটে ধর্নায় বসেছে সাগর নামের ওই যুবক। ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
হাতে লেখা পোস্টারে ছেলেটি লিখেছে “আমার ৫ বছরের ভালোবাসাকে ফিরিয়ে দাও”। এই দাবীতেই ঠান্ডায় শ্বশুরবাড়ির সামনের রাস্তায় বসে রয়েছে যুবকটি। এর আগে প্রেমিকার মন জয় করতে বা প্রেমিকাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে এমন পন্থা নিয়েছিল বেশ কয়েকজন যুবক। তবে নিজের স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার এমন দাবী রাজ্যে প্রথমবার বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাগর পড়ুয়া ও তাঁর বাবা গড়ুর পড়ুয়া ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে। ফি বছর তাঁরা বাড়ি ফিরে আসে মাস কয়েকের জন্য। এভাবেই চলতে চলতে এক সময় গ্রামেরই শুভশ্রী’র (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারপরেই চারহাত এক হয়ে যায়। সেই থেকেই বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে এসে ওঠেন শুভশ্রী। তবে বিয়ের কয়েকমাস পর থেকেই আবারও ভিন রাজ্যে পাড়ি জমান সাগর।
এভাবেই দেখতে দেখতে প্রায় ৫টি বছর কেটে যায়। এখন থেকে প্রায় বছর দেড়েক আগে সাগর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন শুভশ্রী। সেই সময় দুই পক্ষের মিমাংসার জন্য গ্রাম্য সালিশও হয়। তবে সেই সালিশির পর থেকে বাপের বাড়িতেই ছিলেন শুভশ্রী। আর স্ত্রীকে ছেড়ে পুনরায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে যান সাগর।
তবে গত মাস দুয়েক আগে সাগর বাড়ি ফেরার পর থেকেই নতুন করে ঝামেলার সূত্রপাত। স্ত্রী শুভশ্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁর মা জানিয়ে দেন, মেয়ে আর ঘর করবে না। সে এখন নার্সিং নিয়ে পড়াশোনা করছে। এই নিয়ে টানা দু’মাস অনুরোধ উপরোধ চলতে থাকে। এদিকে মেয়ের ডিভোর্সের জন্য সাগরের ওপরে চাপ দেয় মেয়েটির পরিবার।
দেখুন ভিডিওটি-
তারপরেই স্ত্রীকে ফিরে পেতে তাঁর বাড়ির সামনে ধর্না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাগর। এখন দেখার, স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সাগরের এই ধর্না’র পর তাঁর স্ত্রী পুনরায় ফিরে আসেন কিনা।