মিলন পন্ডা, পূর্বমেদিনীপুর.ইন : প্রায় বছর ২৫ আগে অতিরিক্ত পনের দাবীতে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি বাড়ছনবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা শচীন্দ্রনাথ দাস-এর বিরুদ্ধে। সেই মামলার দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে কাঁথি মহকুমা আদালত।
এদিন অতিরিক্ত জেলা দায়েরা আদালতের ফাস্ট ট্রাক বিচারক অলি বিশ্বাস অভিযুক্তকে দোষী বলে ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার তাঁর সাজা ঘোষণা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৪৯৮(এ),৩০৪ (বি), ৩০২ ও ৩৪ ধারার মামলা দায়ের হয়েছিল।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক অবশেষে অভিযুক্ত শচীন্দ্রনাথ দাসকে ৪৯৮(এ) ও ৩০২ ধারার দোষী সাবস্ত করেছেন। মামলার সরকারী আইনজীবি গৌতম সামন্ত জানিয়েছেন, এই মামলার ১৬ জনের স্বাক্ষী গ্রহন করেন বিচারক। তবে মামলার অপর দুই অভিযুক্ত শচীন্দ্রনাথের বাবা ও দাদাকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন বিচারক। আর এক অভিযুক্ত শ্বাশুড়ি মামলা চলাকালীন গত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৯২ সালে মারিশদা থানার নাচিন্দা গ্রামের সঞ্চিতার সঙ্গে কাঁথির বাড়ছনবেড়িয়া গ্রামের শচীন্দ্রনাথের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যথেষ্ট দান সাম্রগ্রী দিয়ে বিয়ে হলেও কয়েক মাস পর থেকে পণের দাবিতে প্রায়শই মারধর করত স্বামী।
এরপর জল সেচের মেসিং কেনার জন্য স্ত্রীর বাপের বাড়ি থেকে ৭ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। সেই টাকা আনতে রাজী হয়নি গৃহবধু সঞ্চিতা। এরপর থেকেই চলে সঞ্চিতার ওপর শারিরিক অত্যাচার।
১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল শ্বশুরবাড়িতে সঞ্চিতা দাস (২২) লাইলন দড়ি ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। ২৭ এপ্রিল মারিশদা থানার নাচিন্দা বাসিন্দা ভগীরদ মণ্ডল থানার অভিযোগ দায়ের করেন।