মিলন পন্ডা, পূর্বমেদিনীপুর.ইন : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর ঝামেলার জেরে বন্ধ হয়ে রইল স্কুলের মিড ডে মিলের রান্না। যার জেরে টানা চার মাস ধরে কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের ফুলেশ্বর দুরমুঠ হাই স্কুলের বন্ধ মিড ডে মিল।
বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে বিডিও সবার নজররে থাকলেও সমস্যার সমাধান কিছুতেই হচ্ছে না। স্কুলের প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি ও সিপিএম নেতা মামুদ হোসেন জানান, স্কুলের মিড-ডে মিল বন্ধ থাকার বিষয়টি নিয়ে জেলা শাসক থেকে শুরু করে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সমস্যা মিটছে না।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সামন্ত স্কুলের মিড-ডে মিল বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে জানান, এই স্কুলে শুরু থেকে মিড-ডে মিলের রান্না করত ফুলেশ্বর জননী স্বনির্ভর গোষ্ঠী। ২০১৬ -২০১৭ সালে স্থানীয় আরও চারটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্কুলে সমান ভাবে রান্নার দাবি জানায়।
এর জেরে স্কুলের মিড-ডে মিল রান্না বন্ধ হয়ে যায়। ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েত, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের সম্মিলিত বৈঠকে ডাকা হয়। এই বেঠকে ঠিক হয় জননী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ৬ মাস স্কুলের রান্না করবে। বাকী চারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এক মাস করে রান্না করবে।
কিন্ত প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। কলকাতার হাইকোর্ট প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেয়। সেইমত ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা রান্না চালিয়ে যায়।
কিন্তু এপ্রিল মাসে বাকী চারটি গোষ্ঠীর মহিলারা সমান ভাবে কাজের দাবী জানালে পুনরায় রান্নার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বাকী চারটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা গিয়ে উনুনে জল চেলে দেয়। জননী গোষ্ঠীর একজন মহিলার হাত ও মুখ ঝলসে যায় বলেও অভিযোগ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত সামন্ত বলেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান করে যাতে মিড ডে মিল চালু হয় তার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। মামুদ হোসেন বলেন, স্কুলের মিড ডে মিল বন্ধ থাকার কারনে পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়ছে।
প্রশাসনে বার বার জানানো হলেও তাদের অবহেলার কারনে মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। কাঁথি দেশপ্রান ব্লকের বিডিও মনোজ মল্লিক বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ, তারা স্কুলের মিড ডে মিল রান্নার দ্বায়িতের থাকা মহিলাদের গোষ্ঠীদের কাজ ভাগাভাগি করে দিয়েছিলেন। সেই মত রান্নার কাজ চলছিল।
কিন্তু কয়েক মাস আগে মহিলার গোষ্ঠীদের মধ্যো গণ্ডগোলের জেরে মিড ডে মিলের বন্ধ হয়ে যায়। মনোজবাবু আরও বলেন ২ জুলাই মিড ডে মিলের কাজ শুরু হলেও আবার গণ্ডগোল হয়। তাই এক সপ্তাহের মধ্যো মহিলাগোষ্ঠীদের বাসিয়ে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।


