পূর্বমেদিনীপুর.ইন : খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন হলদিয়া মহকুমা আদালতের বিচারক। প্রায় ৯ বছর ধরে মামলা চলার পর সুবিচার পেলেন নিহতের পরিবার। পুলিশ ও আইনজীবী সূত্রে খবর, ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ দুর্গাচক থানার ঝিকুরখালিতে শ্রীহরি মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি খুন হন। তিনি হলদিয়া শিল্প শহরের বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন।
ওই দিন বিকালে নাতিকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য স্থানীয় একটি মন্দিরে অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় কিঙ্কর মণ্ডল-সহ একাধিক দুষ্কৃতী শ্রীহরিকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে তাঁকে ফেলে রেখে চম্পট দেয়। স্থানীয়রা শ্রীহরিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীহরির পরিবারের তরফে দুর্গাচক থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জনকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ২০১৭ সালে মূল অভিযুক্ত কিঙ্কর মণ্ডল গ্রেফতার হয়। পাঁচ বছর ধরে জেল হেফাজতে থাকার পর শনিবার হলদিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অঞ্জনকুমার সরকার এই মামলায় কিঙ্করের সাজা ঘোষণা করেন।
হলদিয়া মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী দিলীপকুমার শী বলেন, “শ্রীহরি মণ্ডল খুনের মামলায় ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল দুর্গাচক থানায়। মূল অভিযুক্ত কিঙ্কর মণ্ডল দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। ২০১৭ সালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন খুনের দায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। জরিমান অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে।