পূর্ব মেদিনীপুর : সরকারী চাকরী পাইয়ে দেওয়ার নামে বাড়িতে রীতিমতো ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার আরংকিয়ারানার বাসিন্দা অলোক মাইতি। বেশ কয়েক বছর ধরে প্রাইমারি, আপার-প্রাইমারি এমনকি গ্রুপ ডির বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু বেকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমানে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ময়না থানার ওসি গোপাল পাঠক জানিয়েছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অলোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি সূত্রে খবর, গতকাল অলোকের ছেলের বিয়ের আশীর্বাদী চলছিল বাড়িতে। সেই সময়ই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিন ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশিষ চৌধুরি অভিযুক্তকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩রা জুলাই অভিযুক্তকে পুনরায় আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতারণা মামলা সংক্রান্ত কেস ডায়েরীও আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তমলুক আদালতের সরকারী আইনজীবি (Asst. Public Procecutor) সফিউল আলি খান জানিয়েছেন, ময়না থানার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে অলোক মাইতিকে গতকাল তাঁর বাড়ি থেকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে।
সফিউল জানান, অলোকের বিরুদ্ধে আইপিসি ৪২৪, ৪০৬, ৪১৭ এবং ৩২৩ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি আশেপাশের জেলাগুলিতেও এই প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই কারনেই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গতঃ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই ব্যক্তির প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এই চক্রের সঙ্গে আর কোনও প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে কিনা তা নিয়েই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।