পূর্বমেদিনীপুর.ইন : গতবারের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে পুজোর। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার রাজ্যের ক্লাবগুলির দুর্গাপুজোর অনুদান বাড়িয়ে করেছেন ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। কিন্তু এই অনুদান নিয়েও পূর্ব মেদিনীপুর (Durgapuja 2025) জেলা জুড়ে একাধিক ক্লাব চাঁদা আদায়ের নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জুলুমবাজি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোথাও আবার ক্লাবের দাবীমতো চাঁদা দিতে না চাইলে গৃহস্থকে হেনস্থাও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ক্লাবগুলির এই জুলুমবাজির বিরুদ্ধে মোক্ষম জবাব দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানা এলাকার এক বাসিন্দা। নিজের বাড়ির সামনে রীতিমতো পোষ্টার সেঁটে মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান পাওয়া ক্লাবগুলিকে দুর্গাপুজোর চাঁদা চাইতে নিষেধ করেছেন তিনি। পুজোর নামে চাঁদার জুলুমবাজির বিরুদ্ধে মহিষাদলের প্রফেসর কলোনীর বাসিন্দা সুজাতা মাইতির এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
পোষ্টারে লেখা হয়েছে – এই দুর্গাপুজোয় ২০২৫ সালে মাননীয় পঃবঃ সরকারের পক্ষ হইতে প্রাপ্ত ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পুজা অনুদান পাওয়া দুর্গাপুজা কমিটিগুলি দয়া করিয়া আমাদের নিকট চাঁদা চাহিতে আসিবীন না এবং চাঁদা চাহিয়া আমাদের লজ্জা দিবেন না। আমাদের বিনীত ভাবে করা এই অনুরোধটি মানিয়া লইয়া অনুগ্রহ পূর্বক ধন্যবাদ গ্রহণ করিবেন।
ওই ব্যক্তির দাবী, “দুর্গাপুজো এলেই প্রতি বছর স্থানীয় ও দূর দূরান্তের শতাধিক ক্লাব বাড়িতে হাজির হয়। তাঁদের দাবী মতো চাঁদা না দিলেই উড়ে আসে কটুক্তি। কখনও প্রচ্ছন্ন হুমকিও শুনতে হয়। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী ক্লাবগুলোকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে পুজো অনুদান দিচ্ছেন। এই টাকায় অনেক ধূমধাম করেই পুজো সারা যায়। অথচ তারপরেও হাতে চেকবই নিয়ে সারাদিন ধরে বাড়িতে হানা দিচ্ছে ক্লাবগুলি। এরই প্রতিবাদে বাড়িতে পোষ্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি”।
অন্যদিকে একাধিক ক্লাবের দাবী, তাঁদের পুজোর বাজেট সরকারী অনুদানের তুলনায় অনেকগুন বেশী। তাই এলাকায় ঘুরে ঘুরে চাঁদা তুলেই পুজোর খরচ জোগাড় করতে হচ্ছে। তবে এরজন্য সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে না বলেই দাবী ক্লাবগুলির। যদিও বাস্তবে ভুক্তভোগীদের গৃহস্থদের অধিকাংশই মহিষাদলের বাসিন্দার এই পদক্ষেপকে রীতিমতো সাধুবাদ জানিয়েছেন।