পূর্ব মেদিনীপুর : ভাড়ায় জবকার্ড খাটানো আটকাতে এবার কোমর বেঁধে নামছে প্রশাসন৷ উপভোক্তার জিম্মাতেই জবকার্ড রাখতে হবে। তা না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গোটা জেলায় জবকার্ড নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
এনআরইজিএ ডিস্ট্রিক্ট নোডাল অফিসার বুদ্ধদেব পান এনিয়ে ২৫টি ব্লকের বিডিওকে চিঠি দিয়েছেন। তাতে সবক’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে জবকার্ড নিয়ে সার্ভে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি চলাকালীন ভুয়ো জবকার্ড, শহর কিংবা অন্য পঞ্চায়েতে স্থানান্তর এবং নকল নথি দিয়ে কার্ড তৈরি হলে সেসব বাতিল করা হবে।
প্রসঙ্গতঃ গত ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই এবং ৪ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট দুফায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের টিম পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ভিজিট করে। পরিদর্শক টিম একশো দিনের কাজ খতিয়ে দেখার সময় বেশকিছু অনিয়ম খুঁজে পায়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জবকার্ড ভাড়ায় খাটানো হচ্ছে। একজনের জবকার্ড নিয়ে অন্যজন কাজ করছেন।
একজন নিজের জবকার্ডকে কমিশনের ভিত্তিতে অন্যজনকে দিয়েছেন। এভাবে তমলুক, ময়না সহ বেশকিছু জায়গায় জবকার্ড ভাড়ায় খাটানোর হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। একই চিত্র উঠে এসেছে রাজ্যের অন্যত্রও। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিডিওদের চিঠি দিয়ে একশো দিনের জবকার্ড নিয়ে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, জবকার্ড সংশ্লিষ্ট পরিবারের জিম্মায় আছে কি না সেটা নিশ্চিত করতে হবে। জবকার্ড এন্ট্রি, কাজের দাবি, কাজ দেওয়া এবং পেমেন্ট হওয়ার বিষয়টি প্রতি ১৫দিন অন্তর আপডেট করতে হবে। একইসঙ্গে চারটি কারণ দেখে জবকার্ড বাতিল করা হবে। প্রথমত, ওই পরিবার পাকাপাকিভাবে শহরে স্থানান্তর হলে জবকার্ড বাতিল হবে। দ্বিতীয় কারও জিম্মায় ডুপ্লিকেট জবকার্ড রয়েছে বলে প্রমাণ হলে সেসব বাতিল করতে হবে। তৃতীয়ত, ভুয়ো নথিপত্র দিয়ে জবকার্ড হলে তা বাতিল করা হবে। চতুর্থত, পরিবার এক পঞ্চায়েত থেকে অন্য পঞ্চায়েতে স্থানান্তর হলে জবকার্ড বাতিল হয়ে যাবে।