পাঁশকুড়া : সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোয় আবাস যোজনার তালিকা থেকে এক ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত রাধাবল্লভচক পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। নিজের মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রীকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে দিন কাটাচ্ছেন গৌতম প্রামাণিক নামে ওই ব্যক্তি। বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
রাধাবল্লভচক পঞ্চায়েতের মহাডোল গ্রামের বাসিন্দা গৌতম এক সময় সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করতেন। ২০০৮ সালে তৃণমূলের টিকিটে পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন গৌতম। তবে হেরে যান। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গৌতমের সাথে দলের দূরত্ব তৈরি হয়। গৌতমদের সহযোগিতায় সে বার মহাডোলে নির্দল প্রার্থী জয় পান। দলের কোপে পড়েন গৌতম।
পেশায় দিনমজুর তপসিলি জাতিভুক্ত গৌতম বিপিএল তালিকাভুক্ত জব কার্ডধারী। বছর তিনেক আগে আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম ছিল বলে দাবি গৌতমের। বাড়ির টাকা দেওয়ার জন্য তৎকালীন পঞ্চায়েত কর্মীরা তাঁর থেকে জব কার্ড সহ একাধিক নথি নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরেও বাড়ি তৈরির টাকা মেলেনি।
নিজের মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ছেলে পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকে। মানসিক ভারসাম্যহীন স্ত্রীকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে দিন কাটছে বছর আটচল্লিশের গৌতমের। তাঁর মতো দুঃস্থ মানুষ কেন আবাস যোজনার টাকা পাবেন না? জানতে চেয়ে পাঁশকুড়ার বিডিওকে চিঠি দিয়েছেন গৌতম।
তিনি বলেন, “তৃণমূলের সাথে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় আমার নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। স্ত্রীকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আছি। আমি কেন আবাস যোজনার টাকা পাব না তা প্রশাসন বলে দিক।”
তারপর দু’বার পঞ্চায়েত আবাস যোজনার যে তালিকা প্রকাশ করে তাতে তাঁর নাম ছিল না। গৌতমের অভিযোগ, দলের থেকে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অঙ্গুলি হেলনে আবাস যোজনার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত।
পঞ্চায়েতের রাধাবল্লভচক উপপ্রধান শেখ হায়াতুল্লা বলেন, “প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য কিছু নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। আমরা বিডিওর সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। দল মত নির্বিশেষে উপযুক্ত সবাই আবাস যোজনার টাকা পাবেন।”
- তথ্যসূত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা