ময়না : একেই বোধ হয় বলে পরকীয়ার টান! ৭৫ বছরের বৃদ্ধা শাশুড়িকে বেঁধে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে চম্পট দিলেন এক গৃহবধূ। বুধবার সন্ধ্যায় ময়না থানার গোকুলনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর বৃদ্ধা শাশুড়ি চিৎকার করে লোকজন ডাকেন। প্রতিবেশীরা গিয়ে তাঁর বাঁধন খুলে দেন। ওই বধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন।
খবর পাওয়ার পর তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সালিশির মাধ্যমে বধূকে ফেরানোর তোড়জোড় চলছে। এজন্য অগ্রগামী মহিলা সমিতির ময়না শাখার সম্পাদক সবিতা দাসের শরণাপন্ন হয়েছে ওই পরিবার। সবিতাদেবী বলেন, সালিশির মাধ্যমে গোটা বিষয়টি নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে ওই বধূর বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন। বলাইপণ্ডায় ওই বধূর আসা যাওয়া ছিল। সেখানে আসা যাওয়ার সুবাদে পিংলা থানা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়া হয়। তারপর তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। বুধবার সন্ধ্যায় ফোন আসার পর গৃহবধূ শাশুড়ির হাত-পা বেঁধে ফেলেন। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর অগ্রগামী মহিলা সমিতির ময়না শাখার উদ্যোগে সালিশির মাধ্যমে এক মহিলাকে প্রেমিকের খপ্পর থেকে বাড়ি ফেরানো হয়। রামচক গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়চক গ্রামের সেই মহিলার ছেলে এবং মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দুই পরিবারে নাতি-নাতনিও হয়েছে। তারপরও সেই মহিলা পুরোহিতের হাত ধরে ঘর ছাড়েন। মহিলার স্বামীর আবেদনের পর ওই সংগঠন উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশিতে বসে। মহিলাকে বাড়িতে পাঠানো হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ওই বৃদ্ধার বয়স প্রায় ৭৫ বছর। লাঠি সম্বল করেই প্রতিবেশীদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন। বউমার চলে যাওয়ার ঘটনা যাতে শাশুড়ি প্রতিবেশীদের জানাতে না পারেন, তার জন্যই পরিকল্পনা করে তাঁকে বেঁধে ফেলা হয়। রাতেই শাশুড়িকে বাঁধনমুক্ত করা হয়। খবর দেওয়া হয় ওই বধূর স্বামীকে। গোটা ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।