নন্দীগ্রাম : কাঁকড়া চাষের প্রসারে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হল নন্দীগ্রামে। রাজ্যে প্রথম কাঁকড়া চাষিদের নিয়ে গঠিত হল বিশেষ প্রযুক্তির প্রোডাকসান গ্রুপ। নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের তৎপরতায় নন্দীগ্রাম এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাঁকড়া চাষিদের নিয়ে গঠিত হল “বক্স-ক্রাব ফিশ প্রোডাক্সান গ্রুপ”। শুধু দল গঠনই নয়, দলের মৎস্যচাষিদের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে মৎস্যচাষ নিবন্ধন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হল। এই বক্স-ক্রাব টেকনোলোজিতে মাছের সাথে কাঁকড়ার অভিনব চাষ পদ্ধতি নন্দীগ্রামে বেশ প্রসার ঘটছে। কাঁকড়া চাষিদের সাথে ব্লক মৎস্য দপ্তরের এই নিবিড় যোগাযোগ মাছ চাষিদের বিশেষ ভাবে উদ্বুদ্ধ করছে।
কি এই অভিনব বক্স ক্রাব টেকনোলোজি ? এই বিষয়ে ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, কাঁকড়া চাষের আধুনিক লাভজনক পদ্ধতির নাম ‘বক্স ক্রাব টেকনোলজি’ বা ‘বাক্স-পদ্ধতি’। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ঈষৎ নোনা জলের পুকুরেই মাছ চাষের সঙ্গে বাক্স করে কাঁকড়া চাষ করা যায়। এই পদ্ধতিতে ১০-১২ দিনের পুরুষ কাঁকড়া এবং ২৫-৩০ দিনের মধ্যে স্ত্রী কাকঁড়া চাষ করা যায়। অত্যন্ত লাভজনক এই পদ্ধতি অবলম্বন করেই বর্তমানে এলাকায় কাঁকড়াচাষ এর প্রসার বাড়ছে।
নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি “বক্স-ক্রাব ফিশ প্রোডাক্সান গ্রুপ”এর কাঁকড়া চাষিদের খামার পরিদর্শন করে বলেন স্বনির্ভর দলের মহিলাদেরও এই বিশেষ পদ্ধতির লাবজনক চাষে উৎসাহ দেওয়া হবে, বাড়ির কাজের সাথে সাথে মহিলারাও বাড়তি আয় আনতে পারবে।
সাউদখালি গ্রামের কাঁকড়া চাষি অমিত বেরা বলেন, ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন সাহুর সহায়তায় আমরা একটি দল গঠন করেছি, আমাদের পরিচয় পত্র সহ বীমা প্রকল্পের আওতায় এনেছেন। সাউদখালির কাঁকড়া চাষি বুদ্ধদেব জানা, সোনাচূড়ার আশিস পাত্র, কেন্দেমারী গ্রামের শম্ভু মাইতি প্রমুখ চাষিরা এই উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন বলে জানান।