তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর : শনিবার সাত সকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১১৬বি জাতীয় সড়কের তমলুক থানা এলাকায়। একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্যাঙ্কারের পেছনে প্রচন্ড গতিতে ছুটে আসা মারুতি গাড়িটি ঢুকে পড়ার জেরেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর। এই ঘটনায় মারুতির চালক সহ ২ যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। একজন (Purba Medinipur) আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মৃতরা হলেন দেবাশিস দাস, কমলা পাল এবং গাড়ির চালক সুদীপ মাইতি। গুরুতর জখম মমতা দাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুরঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে তাম্রলিপ্ত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ৩ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, গাড়িটি চন্ডীপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর ৫.৪৫টা নাগাদ প্রাইভেট গাড়িটি ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে চন্ডীপুর থেকে মেছেদার দিকে যাচ্ছিল। পথে তমলুক থানার কুমারগঞ্জের কাছে প্রাইভেট গাড়িটির পেছনের চাকা ফেটে যায়। সেই সময় গাড়িটি প্রচন্ড গতিতে ছুটে যাচ্ছিল। গাড়িটির চাকা ফেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি দ্রুত গতিতে রাস্তার নীচে বামদিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি খালি গ্যাস ট্যাঙ্কারের তলায় ঢুকে যায়। এর জেরে প্রাইভেট গাড়ির ভেতরেই আটকে পড়েন চালক সহ ৩ যাত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কমলা পাল ও দেবাশিস দাস চন্ডীপুরের এড়্যাশালের বাসিনা। চালক সুদীপ মাইতি নন্দীগ্রামের দক্ষিণ খোদামবাড়ির বাসিন্দা এবং গুরুতর জখম মমতা দাস মহিষাদলের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। গাড়িটি রুগী নিয়ে কলকাতায় চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। পুলিশের অনুমান, প্রাইভেট গাড়ির চাকাটি ব্যবহারের অযোগ্য ছিল। তারপরেও সেই চাকা লাগিয়েই গাড়ি ছোটানোর ফলে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মৃত গাড়ির চালকের আত্মীয় স্নেহাংশু বেরা জানান, “আমরা সকালেই পুলিশের কাছ থেকে ফোন মারফৎ জানতে পারি এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার বিষয়ে। গাড়ির চালক সুদীপ সম্পর্কে আমার শ্যালক। গাড়ির মালিকও তিনিই। উনি গত প্রায় ২০ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। প্রায়শই কলকাতায় যেতেন যাত্রী নিয়ে। এদিন রোগী নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। গাড়ির একটি চাকা ফেটে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।