তমলুক : প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে ক্যান্টিনের অফিস থেকে পাঁচ টাকা দিয়ে ‘কুপন’ কাটতে হবে। দুপুর ১টা থেকে খাবার পাওয়া যাবে। তিনি জানান, প্রথম দিনেই রোগীর পরিজন সহ সাধারণ মানুষ মিলিয়ে ৩৫০ জন ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনেছেন। আপাতত প্রতিদিন ৩৫০ জনকে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চালু হল চালু হয়েছে ‘মা’ ক্যান্টিন। তাম্রলিপ্ত পুরসভার উদ্যোগে হাসপাতাল চত্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেন তমলুকের পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শহর ও গ্রামীণ এলাকায় দুঃস্থ মানুষদের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থার লক্ষ্যে ‘মা’ ক্যান্টিন চালু হয়েছে।
পাঁচ টাকা দিয়ে ভাত, ডাল, ডিম ও আনাজের তরকারি পাওয়া যায় এই ক্যান্টিনে। তমলুক পুরসভার পরিচালনায় তমলুক শহরের পার্বতীপুরে কয়েক মাস আগে ‘মা’ ক্যান্টিন চালু হয়েছিল। এবার তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর পরিজন সহ সাধারণ মানুষের জন্য ক্যান্টিনে পাওয়া যাচ্ছে খাবার।
তমলুক পুরসভার পরিচালনাতেই এই ‘মা’ ক্যান্টিন চলবে। এদিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন তমলুকের মহকুমাশাসক বুদ্ধদেব পান, তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল শর্মিষ্ঠা মল্লিক, মেডিক্যাল সুপার অ্যান্ড ভাইস-প্রিন্সিপ্যাল কৌশিক কর, অ্যাডিশনাল সুপার ভাস্কর বৈষ্ণব, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মাইতি, তমলুকের উপ-পুরপ্রধান লীনা মাভৈ রায়, হাসপাতালের পদস্থ আধিকারিক ও পুরসভার কাউন্সিলররা।
পুরপ্রধান বলেন, “হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজন-সহ সাধারণ মানুষের জন্যই ‘মা’ ক্যান্টিন চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনরা উপকৃত হবেন। মাত্র পাঁচ টাকা দিয়ে এখানে ভাত, ডাল, ডিম, তরকারি সহ দুপুরের খাবার পাওয়া যাবে।